১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সামরিক আদালতে দণ্ডিত- চাকরিচ্যুতদের দণ্ড অবৈধ ঘোষণা এবং নিয়মিত অবসরের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে ১৯৭৭ সালের মার্শাল ল’ রেগুলেশনে গঠিত ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত করা ও দণ্ডকে অবৈধ ঘোষণা করে আবেদনকারীদের দেশপ্রেমিক হিসেবে বিবেচনার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না এবং তারা নিয়মিত অবসরে গেলে যে বেতন, সুবিধা এবং পেনশনের অর্থ পেতেন, সে প্রদানে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে আবেদনকারীদের পরিবারের সদস্যদের সার্ভিস অব ওয়ার্ড প্রদানে কেন বিবাদীদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল রিট আবেদনটি করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সার্জেন্ট সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন এবং দণ্ডিত, চাকরিচ্যুত তৎকালীন সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ ৮৮ জন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মতিউর রহমান।
রিটের পরে মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্শাল ল’ রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৭৭ দ্বারা সামরিক আদালতে জিয়াউর রহমান অন্যায়ভাবে বিচার করেছিল। সেই বিচারে যাদের ফাঁসি হয়েছিল, যাদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল এবং যারা চাকরিচ্যুত হয়েছিল সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার জন্য রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
এছাড়া যারা মারা গেছেন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পোষ্যদের যাতে সরকারি চাকরিতে অ্যাকোমোডেট করার আর্জি জানানো হয়েছিল।
৮৮ জনের মধ্যে ১৩ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত, ৩৩ জন যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত। আর বাকি ৪২ জন চাকরিচ্যুত।