আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে রণকৌশলে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। সম্প্রতি যুদ্ধ হয়ে উঠেছে রিমোট নিয়ন্ত্রিত আকাশপথ কেন্দ্রিক। ড্রোন, রকেট, মিসাইল, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সক্ষমতা প্রমাণ করছে দু’পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন অনেকে।
রুশ বাহিনীর ছোড়া ড্রোন রকেট হামলায় গুড়িয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের একের পর এক স্থাপনা। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চোখে পড়ছে আকাশ পথে আঘাত হানতে সক্ষম এমন শক্তিশালী অস্ত্রের ব্যবহার। মিসাইল, রকেট, ড্রোনের মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা দেখাচ্ছে দু’পক্ষ। এতে স্থলপথের হানাহানি কমে, আট মাসের যুদ্ধ অনেকটাই রূপ নিয়েছে আকাশপথের রিমোট-নিয়ন্ত্রিত লড়াইয়ে।
এমন পরিস্থিতিতে সামরিক সক্ষমতা আর অস্ত্রের মজুদ বাড়াতে ব্যস্ত দু’পক্ষ। কিছু দিন ধরেই আকাশ পথে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। এতে অনেকটাই কোণঠাসা রুশ বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে তাদের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আর গোলাবারুদের ডিপো। কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারও করেছে জেলেনস্কির বাহিনী। আকাশ পথের নির্ভুল লক্ষ্যভেদকেই এই সফলতার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
যুদ্ধের শুরু থেকেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে বড় ধরনের অস্ত্র সহায়তা পাচ্ছিল কিয়েভ। যার বিশাল অংশই আকাশপথের সমরাস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন রকেট ব্যবস্থা হাইমার্স আর এম-২৭০ মাল্টিপল রকেট সিস্টেম। এছাড়াও আছে তুরস্কের তৈরি টিবি২ ড্রোন, এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ফিনিক্স ঘোস্ট ড্রোনের মত শক্তিশালী অস্ত্রের বহর।
আকাশ পথের হামলায় শুরুতে তেমন তৎপরতা ছিল না রুশ বাহিনী। তবে সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে মস্কোর ড্রোন রকেট হামলা। যা বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাদের। এছাড়াও পুতিন বাহিনীর অস্ত্রের বহরে রয়েছে শক্তিশালী ৯এম-৭২৭ ক্ষেপণাস্ত্র, কেএইচ-১০১ ও ১০২ ক্রুজ মিসাইল, এস-৩০০ ও এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রণকৌশলের এ পরিবর্তন বদলে দিতে পারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ। পশ্চিমা মিত্ররা, রুশ রকেট-ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করতে পারে এমন শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহ করলে ইউক্রেনীয় সেনারা কড়া জবাব দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।