বেসরকারি খাতের সাথে সুইসকন্ট্যাক্টের ’মিট অ্যান্ড গ্রিট’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত

সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং এসডিজি (SDGs) অর্জনে বেসরকারী খাতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতের প্রায় ৪০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে একটি “মিট অ্যান্ড গ্রিট” অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।এ আয়োজন জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৭: “অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন” এর জন্য ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইসকন্ট্যাক্ট-এর গ্লোবাল সিইও এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ফিলিপ শ্নেউলি ।তিনি উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ও অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুইসকন্ট্যাক্ট কীভাবে বিশ্বব্যাপী এবং বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের সাথে সহযোগিতা করছে তা তুলে ধরেন।

ফিলিপ শ্নেউলি আরো বলেন, “এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স (ওডিএ) প্রদান কখনই যথেষ্ট হবে না। উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারি খাতের সহযোগিতা অপরিহার্য।”

তিনি বাংলাদেশের বেসরকারী খাতের সম্ভাবনা, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বেসরকারী খাত আরও কী ভূমিকা পালন করতে পারে সে সম্পর্কেও তার মতামত প্রকাশ করেন।

সুইসকন্ট্যাক্ট সুইজারল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিজ্ঞান জগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা একটি স্বাধীন ফাউন্ডেশন হিসাবে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংস্থাটি প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এবং গত বছর সারা বিশ্বে ১,১৫০টির উপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির সাথে কাজ করেছে। বাংলাদেশে, সুইসকন্ট্যাক্ট ২০০০ সালের প্রথম দিক থেকে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজ করছে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে বেসরকারি খাত কীভাবে জোরালোভাবে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং, বীমা, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, জ্বালানিখাত, এগ্রি-বিজনেস, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইসিটি এবং ব্যবসায়িক সমিতিসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য বেসরকারি খাত আরও এগিয়ে আসতে পারে – এই ঐক্যমতের সাথে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।