আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের দিন যুবলীগ রাজপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করবে যুবলীগ।ওই মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যুব মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (৩১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
সভায় শেখ পরশ বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই যুব মহাসমাবেশের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের একটা হুঁশিয়ারি দিতে চাই যে, আপনারা যদি অগ্নি সন্ত্রাস করেন তাহলে এদেশের জনগণ আপনাদের নেতৃবৃন্দকে গণধোলাই দিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেবে। এখনো সময় আছে রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলুন। আমাদের ভয় দেখাবার চেষ্টা করবেন না। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, আমরা আপনাদের মতো স্বাধীনতাবিরোধী সুবিধাবাদী দলকে ভয় পাই না।
তিনি বলেন, যুবলীগ শেখ হাসিনার ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রধান শক্তি হিসাবে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। সুতরাং এই সংগঠনের নিবেদিত নেতাকর্মীরা আপনাদের মতো স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে যাবো। আপনাদের মোকাবিলা করতে যেকোনো দিন, যেকোনো সময় যুবলীগ প্রস্তুত আছে। চ্যালেঞ্জ দিলাম এবং আপনাদের জবাবের অপেক্ষায় রইলাম। ১০ ডিসেম্বরের হুমকি দেন? ১০ ডিসেম্বরেও আমরা রাজপথে আপনাদের অপেক্ষায় থাকব। দেখি শেখ হাসিনাকে কে উৎখাত করে!
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।