সরকার গুম-খুন-জঙ্গি নাটক আবারও শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘অতীতের ভোট ডাকাতির তিনটি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে যেসব ভয়ানক পন্থা অবলম্বন করেছিল, এখন সেই একই পথে নেমেছে আওয়ামী মাফিয়া সরকার। দমন-পীড়ন, মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া, গুম-খুন-জঙ্গি নাটক শুরু করেছে আবারও।’
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভীর দাবি, ‘বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের, পাইকারি হারে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নির্যাতন চালিয়ে দেশটাকে নরকে পরিণত করেছে সরকার। জামিন বাতিল করে গতকাল (বুধবার) বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে যুবদল নেতা আলী আকবর চুন্নু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিক হাওলাদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কমিশনার হারুন উর রশীদসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আতঙ্কিত ও শিহরিত জনপদে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন প্রতিদিনই আমাদের নেতাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তুলে নিয়ে কয়েকদিন গুম রাখার পর গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। জামিন বাতিল করে জেলে পুরছে আমাদের নেতাদের। সারা দেশে প্রতিদিন বিএনপির নেতাদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে আওয়ামী পুলিশ।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘১২ বছর আগে মারা যাওয়া ফরিদপুরের সাবেক কমিশনার ও শহর বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া আলীর বাড়িতে মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। মুন্সিগঞ্জ জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, যিনি এক বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন তার বাড়িতে সাদা পোশাকধারী লোকজন হানা দিয়েছে। তাদের বাড়িতে অভিযানকালে নারীদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক আচরণ করেছে পুলিশ।’
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে গণগ্রেপ্তার করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে, নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া।’