‘আমরা যুবকদের কর্মসংস্থান করেছি, তারা হত্যা করেছে’- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন বেকারের কারখানা, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বেকারের সংখ্যা বেশি বাংলাদেশে।’
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শিক্ষিত বেকাররা চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করছে। যুবক-তরুণদের ধরে নিয়ে গিয়ে গুম ও হত্যার যে দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনা রেখেছেন তা বিশ্বের সব স্বৈরাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে চাই- বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার, কিশোর শ্রমিক বিশ্বজিৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু বক্করসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীকে হত্যা, ছাত্রনেতা নুরুজ্জামান জনি, বাপ্পী, আরিফ, মতিউর রহমান, ভোলার ছাত্রনেতা নুরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম, মুন্সিগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন, নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা শাওন প্রধান, ছাত্রনেতা অনিক, বেনাপোলের আব্দুল আলীম, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা নুরে আলম ভুঁইয়া তানুসহ সারাদেশের জেলায় জেলায় বিএনপির অসংখ্য তরুণ নেতাদেরকে আপনার নির্দেশে পুলিশ, র্যাব অথবা যুবলীগ-ছাত্রলীগ হত্যা করেছে। এ সম্পর্কে আপনি আপনার বক্তব্যে তো কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী?’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এছাড়াও সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী ও সাইফুল ইসলাম হীরু, চৌধুরী আলম, সুমন, মুন্না, জাকির, হুমায়ুন পারভেজসহ অসংখ্য যুবক-ছাত্রকে গুম করার কি জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী?’
সরকারের হীন মানসিকতার প্রকাশ ঘটছে প্রতি মুহূর্তে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে জনগণের বিপুল সমাগম দেখে আওয়ামী প্রশাসন দমনের নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে। এরইমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চুসহ ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’