শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তারুণ্যের অন্যতম শক্তিই হচ্ছে প্রযুক্তি। তবে প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে যেন গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোন বৈষম্য না থাকে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তারা নিজের দেশসহ বিশ্বের উন্নয়ন করতে বদ্ধ পরিকর। আমরা তৈরি হবো তা নয়, আমরা তৈরি হচ্ছি এবং হয়েছি। আমরা শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলছি না, আমরা এখন প্রযুক্তি উদ্ভাবনীর কথা বলছি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা বৈষম্য দূর করতে পারি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক নানা দেয়াল ভেঙে ফেলতে পারছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। তারুণ্যের অন্যতম শক্তিই হচ্ছে প্রযুক্তি। তবে প্রযুক্তির প্রসারের ক্ষেত্রে যেন গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোন বৈষম্য না থাকে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো বিষয়ের ভালোর ব্যবহারের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার থাকে। প্রযুক্তি বান্ধব হবো। প্রযুক্তিকে আমরা বশ করবো প্রযুক্তি যেন আমাদের বশ না করে। ডিভাইসের পণ্য হওয়া যাবে না। ডিভাইস যেন আপনার জীবনকে দখল করতে না পারে তার জন্যে প্রত্যেকে সচেতন থাকতে হবে। নিরাপত্তার দিকে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করবো কিন্তু প্রযুক্তির পণ্য আমরা হবো না।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।
সাংবাদিক এমঅর ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন। আলোচনা সভার আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। পরে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধন করা হয়।
মেলায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ, ডিজিটাল সেবা, হাতের মুঠোয় সেবা, শিক্ষা দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের ওপর ৪টি প্যাভিলিয়নে ক্যাটাগরি ভিত্তিক ৭০টি স্টল স্থান পায়।