আদালতে আজও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা

আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ঢাকার নিম্ন আদালতগুলো ঘিরে আজও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রতিটি ফটকে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।

জানা যায়, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আদালত প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত তিন প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পরিস্থিত নজরদারি করছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।

দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, তারা আদালতে আসা মানুষজনের প্রতি নজর রাখছেন। কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের (প্রসিকিউশন) উপ-কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গতকালের (সোমবার) মতো আজও আদালতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে তিন প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ আদালতে মোতায়েন করা হয়েছিল। তারা আজও দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি ও লালবাগ বিভাগ কাজ করছে।

গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগিরা। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিরা হলেন—সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব। তারা দুইজনই জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তারা প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায় হাজিরা দিতে রোববার তাদের সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছিল। হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার সময় চারজন জঙ্গির মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তাদের সহযোগিরা।

এ ঘটনার পর সারা দেশের নিম্ন আদালতে নিরাপত্তা জোরদারে নির্দেশনা দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তারপর থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।