ফসলের সুগন্ধের দিকে নজর না দিয়ে এর গুণগতমান ও পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন।
কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় হাওর ও চর এলাকায় নজর দিচ্ছে সরকার। পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ১৫৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
জানুয়ারি ২০২২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, পুষ্টিমান ও খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় সুনির্দিষ্ট ফসলের উৎপাদনশীলতা ৮ থেকে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা। নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল গ্রাম সৃজনের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অবদান রাখা।
৪৯ জেলার ১৫৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প এলাকার গড় শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্প এলাকায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে বায়ো-ফর্টিফাইড ফসল আবাদ সম্প্রসারণ, উচ্চমূল্যের ফসল আবাদ সম্প্রসারণ, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত জাত/প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ ফসল উৎপাদন বাড়বে।
প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বেশি পরিমাণে ফসল ফলাতে বলেছেন। ফসলের গুণগতমান ও পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে বলেছেন, সুগন্ধ নয়। ফসল সংরক্ষণে অন্য দেশের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি। ফসল সংরক্ষণে প্রয়োজনে উল্লেখ করেছেন ডাচদের কথা।
একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির ক্ষতি করে প্রকল্প নেওয়া যাবে না। হাওর, পানি, খাল-বিল, ছোট মাছ, ঘাস, লতাপাতা ও প্রকৃতির ডিস্টার্ব করে প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এগুলো যেন ডিস্টার্ব না করা হয়। বারবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।