জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না : মির্জা ফখরুল

শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্যাতন চালিয়ে সরকার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। সরকারের পতন অনিবার্য।

রোববার (২৭ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার বিরোধী দলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করার বাসনায় লিপ্ত বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তাই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাগামহীনভাবে বাধা দিচ্ছে। সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুরুতর আহত, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ পণ্ড করাকে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য করছে তারা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে কৃষকদলের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পৈশাসিক হামলা চালিয়ে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল আলম, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক সুধীন্দ্র চন্দ্র দাস, কৃষকদল নেতা মো. দুলাল মিয়া, সাহাব উদ্দিন, মঈনুল হাসান বাবলু, নিপেন্দ্র চন্দ্রসহ কৃষকদলের অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে ৩৭ জন কৃষকের নামে করা মামলায় ইতোমধ্যে ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর মর্মন্তুদ ঘটনা সেটিরই ধারাবাহিক অংশ।

একদিকে অবৈধ সরকারের লুটেরা বাহিনী লুণ্ঠন করে বিদেশে বিপুল অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অন্যদিকে দেশের কৃষক যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করছে তাদের ওপর চলছে সীমাহীন জুলুম ও অত্যাচার। ক্ষোভ-হতাশা ও বঞ্ছনায় তারা আত্মহত্যাও করছে। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোনো দাবি বা অধিকারকে পরোয়া করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন।