ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এতে করে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন পার করছেন ইউক্রেনীয়রা। বলা হচ্ছে, শীতে এই হামলার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো অভিযোগ করছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া শীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ’
সোমবার (২৮ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, মনে করা হচ্ছে- চলতি সপ্তাহেও ইউক্রেনের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়া হামলা চালাবে। এ কারণে রাজধানী কিয়েভ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইউক্রেন সফরে গেছেন এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উরমাস রেইনসুলা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটি প্রথম কোনো নর্ডিক নেতার সফর।
সফরে জেনারেটর, গরম কাপড় ও খাদ্য দিয়ে ইউক্রেনকে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেইনসুলা। কিয়েভে অবস্থানকালে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে বেসামরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এটি খুবই লজ্জাজনক। ’
নতুন করে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনার ওপর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে গতকাল সতর্ক করেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি নাগরিকদের এ সংক্রান্ত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘গত সপ্তাহে রুশ সেনাদের হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য জ্বালানি স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহও ঠিক আগের সপ্তাহের মতো কঠিন হতে পারে। ’