কূটনীতিকরা একতরফা উদ্বেগ জানিয়েছেন, এটা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই। শত্রুতা করবেন না।
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দুই সিটির মেয়রদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে যৌথ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কাদের বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি, জঙ্গিবাদি শক্তি মাঠে নামিয়েছে। আগুন সন্ত্রাসে নেমেছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে।
তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে আর সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরাও করব না। মহানগরের সমাবেশ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ গেটে ছিল। তাদেরকে বলে দিয়েছি তারা যেন নাট্যমঞ্চে করে। মিডিয়া কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় মহাসমাবেশ কোনো কোনো পত্রিকার প্রথম পাতায় ছিল না। মিডিয়া আমাদের শত্রু না, তারা আমাদের বন্ধু।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ রাস্তায় পড়েছিলো সেই ছবি মিডিয়া দেখায়নি। তারা বিআরটিসি বাস পুড়িয়েছে। সরকারি গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবে সেই ছবি মিডিয়া দেখাবে না, এটা কেন করা হচ্ছে। মিডিয়ার একটি অংশ কেন একটি পক্ষ নিচ্ছে? এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় সমাবেশ, মিডিয়া ঠিকভাবে দেখায়নি।
তিনি বলেন, মিডিয়ার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি তারা যা দেখবে তাই দেখাবে। আমরা সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানাই।
লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে।
সব মহানগর, উপজেলা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা সর্তক পাহারায় থাকবে। আক্রমণ আমরা করব না। কিন্তু আক্রমণের উসকানি দিলে সমীচীন জবাব দেওয়া হবে, বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস উপস্থিত আছেন।
এছাড়া সভায় উপস্থিত রয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী প্রমুখ।