দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না: কামরুল ইসলাম

বিএনপির উদ্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ১৪ সালে নির্বাচনে আসেননি, ভুল করেছেন। ১৮ সালে এসেও তামাশা করেছেন। আগামী দিনেও না এলে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। তাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংসদ বহাল থাকবে। এই নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন করবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন। এটা মেনে নিয়েই নির্বাচনে আসতে হবে। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না, প্রশ্নই ওঠে না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সাভারে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখ আমাদের বিতাড়িত করবে। ১০ তারিখ আমরা ক্ষমতায় থাকব না। আজ তাদের কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী মানবিক দেখে খালেদা জিয়াকে প্রশাসনিক আদেশে মুক্ত করেছেন। কিন্তু বিএনপি তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। তার মুক্তির জন্য আইনি ব্যবস্থা নিছে না ইচ্ছা করেই। তাকে জেলে রাখার জন্য, তাকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য নেতাকর্মীরা বলছেন, মুক্তি চাই। কিন্তু মুক্তির জন্য কিছুই করছেন না।

অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, ৭১ ও ৭৫ এর ঘাতকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জিয়াউর রহমান জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছিল। তারাই ৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষক যারা ছিল, যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে-শেখ হাসিনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে। এই আমেরিকা। ৭৫ সালে এই আমেরিকা বিদেশি শক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ছিল। সেই পরাশক্তি এখন তাদের পেছনে আছে। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে কোথায় ছিলাম, আর এখন কোথায় আছি। ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হব। শেখ হাসিনা সফলভাবে কোভিড প্রতিরোধ করেছেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এরা ৭১ ও ৭৫ এর ঘাতক। তারা বিদেশিদের কাছে ক্ষমতার জন্য ধরনা দেয়। বিদেশিদের কাছে ধরনা দিলেও তারা কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। একমাত্র জনগণের ভোটেই রাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তন সম্ভব। অন্য কোনো পন্থায় নয়।

জনসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ বাহাউদ্দিন নাছিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এনামুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ উপস্থিত ছিলেন।