রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির কয়েকজন নেতার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অন্যতম আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ বলেন, রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে জামিন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।সেই আবেদনের বিষয়ে কখন কোন আদালতে শুনানি হবে তিনিই তা নির্ধারণ করে দেবেন।
একই দিনে বিএপির আরও কয়েকজন নেতাকর্মীর পক্ষে জামিন আবেদন করা হচ্ছে বলে তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন সন্ধ্যায় জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। একই মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুর ছালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীরর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জন। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্যাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে, ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে চাল, পানি, খিচুড়ি ও নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। এ সময় রিজভীসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করে।