বিএনপি’র সংসদ সদস্যদের পদত্যাগজনিত কারণে শূন্য হওয়া আসনগুলোতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়ের গেজেট পাওয়ার পরেই ইসি থেকে এসব আসনের উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে রবিবার বিএনপি দলীয় সাত জন সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দেওয়া ৫ জনের পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি দুই জনের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্পিকার।
বিএনপি’র পদত্যাগে শূন্য হওয়া সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন প্রশ্নে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘পদত্যাগ জনিত কারণে হোক আর যে কোনও কারণেই হোক জাতীয় সংসদের কোনও আসন শূন্য হলে সেখানে উপনির্বাচন হবে।’
বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে আসন শূন্য ঘোষণা হলে উপনির্বাচন প্রয়োজন পড়বে কী না জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের আগে কোনও সংসদীয় আসন শূন্য হলে উপনির্বাচন করতে হবে। চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ এখনও এক বছরের বেশি রয়েছে। কাজেই এখন কোনও আসন শূন্য হলে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী উপ নির্বাচন করতেই হবে।’
এ বিষয়ে কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গণমাধ্যমে বিএনপি’র এমপিদের পদক্ষেপের কথা জেনেছি। এ বিষয়ে কোনও গেজেট নোটিফিকেশন আমরা পাইনি। গেজেট পেলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। যেদিন পদত্যাগের গেজেট নোটিফিকেশন হবে তার ৯০ দিনের মধ্যে সেই সব আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে