বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী জামায়াত-আলবদররাই বিএনপির প্রধান সহযোগী : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, যে জামায়াতে ইসলামী, আল-বদরের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড পরিচালিত হয়েছিল, তাদের নেতারাই এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী। বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই বিএনপির নেতা।’

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রাজধানীর রায়েরবাজারে বধ্যভূমি বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা আরো লক্ষ্য করেছি, যে ১০ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়, সাংবাদিক শহীদ সিরাজ উদ্দিন হোসেনসহ অনেককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, সে দিনই বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আসলে তাদের যে পাকিস্তানপ্রীতি, পাকিস্তানের প্রতি অনুরক্তি সেগুলোই বারবার প্রকাশ পাচ্ছে, যেমন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে যুক্ত, দেশটাই যারা চায়নি, তারা এদেশে রাজনীতি করে, তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এটি আসলে কখনই সমীচীন নয়। কিন্তু এই অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারি হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ।’

জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের কাছে তারা অনেক আগেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টরা সেই আইনগত প্রক্রিয়াগুলোই দেখছে। তবে আমি মনে করি, জনগণের কাছ থেকে তারা ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।’

বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানিরা যখন বুঝতে পারলো তাদের পরাজয় আসন্ন তখন যে জাতি স্বাধীন হতে যাচ্ছে সেই জাতিকে পঙ্গু করার জন্যই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, প্রকৌশলী -এদের হত্যা করা হয়।