বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিএনপি বড় রাজনীতিক দল, তারা আন্দোলন করবে। তবে তারা রাজপথে আন্দোলন করে কাউকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারবে না। এটা সম্ভব নয়। তাদের প্রতি আহ্বান, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনে আসুন। কারণ নির্বাচনই গণতন্ত্রের শেষ কথা। এতে দেশ শান্তিতে থাকবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তিন দিনের সফরে রংপুরে এসে ডায়াবেটিস সমিতির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই ফেয়ার নির্বাচন হোক। মুখে বলব ফেয়ার হোক, আর কাজ করব অন্যটা। সেটাতো হবে না। আমি যা বলি তাই মনে-প্রাণেও বিশ্বাস করি। সাধারণ মানুষ যেমনটা চায়, তেমনটাই হোক। এলাকার উন্নয়ন হোক। আওয়ামী লীগ বড় দল, সে কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে রংপুর সিটি নির্বাচনে খারাপ ফলাফল হওয়ার কথা নয়।
রমজান মাসে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মোটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুরসহ ৮ পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান মাস উলপক্ষে বিশেষ বিবেচনায় আটটি জরুরি পণ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ যারা বাকিতে আমদানির সুবিধা পাবেন, তাদের ছয় মাসের মধ্যে পেমেন্ট দিতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডলারের যা দাম বেড়েছে আমাদের ইমপোর্ট আইটেমগুলোর ওপর তার প্রভাব পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তখন ডলারের ভ্যেলু ধরে হিসেব করে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে এখনও মূল্যস্থিতি কমই আছে। যার কারণে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা আছে। সব মিলিয়ে অন্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই সময়টা আমাদের একটু সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, গত সাত মাসে বিদ্যুতের ব্যবহার প্রায় ৪০-৪৫ ভাগ কম হয়েছে। আমরা কিছুটা সীমাবদ্ধতা নিয়ে এসে বিলাসবহুল গাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি কমিয়ে এনেছি। নিত্যপণ্যের বাজারে ডলার ভ্যেলু যতদিন পর্যন্ত ঠিক না হবে, ততদিন পর্যন্ত ইমপোর্ট আইটেমের ওপরে প্রভাব থাকবেই। তবে শীতকালীন পণ্যের দাম কিন্তু সহনীয় পর্যায়ে আছে। আর চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, তার দামতো বিশ্ব বাজরের ওপর নির্ভর করে। এটা কখন কমবে বা বাড়বে বলা বড় মুশকিল। টিসিবি এক কোটি পরিবারকে পণ্য দিচ্ছে, এটা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক জাসেম বিন জুম্মন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।