পরিবেশ আইনকে কোনো তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সারাদেশে বাজারজাত করায় মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলাম (মুরাদ) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ এনে অভিযোগ-পত্র জমা দেন অভিযোগ কারী মো: আরিফুল ইসলাম।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলামকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
অভিযোগে বলা হয়, মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্ট এর মালিক আমিনুল ইসলাম ছিলেন এক সময় মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের কর্মচারী । বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন, মাদক, অস্ত্র, ব্যবসা করে কেরানীগঞ্জ আটিবাজার, ঢাকার চকবাজার ইমামগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যার অনুমানিক সম্পদের মূল্য এক হাজার কোটি টাকার মত। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় তার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন সরবারহ করে থাকেন। এমনকি কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, সিলেট বর্ডার থেকে মাদক এবং অস্ত্র এনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকেন। সে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন থানার ওসি এবং গণমাধ্যম কর্মী, সোর্সদেরকে প্রায় ৫০লক্ষ টাকা মাসহারা দিয়ে থাকেন বিকাশ, নগদ এর মাধ্যমে। নিদিষ্ট কিছু নাম্বার ও এলাকার বিভিন্ন দোকানের বিকাশ নম্বর দ্বারা টাকা আদান প্রদান করেন যার স্টেটম্যান্ট উঠালে প্রমাণ পাওয়া যাবে।
২০২২ সালে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় দুই কোটি টাকার নিষিদ্ধি পলিথিনের পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে। তার বাসভবন এবং অফিস রুমে রয়েছে টর্চার সেল। কোন থানায় তার গাড়ি ধরা পরলে লেবার এবং সোর্সকে ধরে এনে তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে তাদের অত্যাচার চালানো হয়। এমনকি ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার ভাগনে পিলু, হাজী নানা ভাঙ্গিয়ে তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেন। প্রতিদিন প্রায় তার ট্রান্সপোর্ট থেকে দুই কোটি টাকার নিষিদ্ধ পলিথিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। কোন থানায় গাড়ি আটক হলে পুলিশ টাকায় মানেজ না হলে এমনকি মাসহারা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে নামে বে নামে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করেন। রাত ৮টার পরে ইমামগঞ্জ বিসমিল্লাহ টাওয়ারের সামনে দিয়ে নিরীহ মানুষ যাতায়েত করতে পারে না । কারণ সরকারি রোড দখল করে রাত ১০ থেকে ২ টা পর্যন্ত একশ থেকে দুইশ টন পলিথিন গাড়িতে লোড করা হয়। তার ট্রান্সপোর্টে শুধু অবৈধ পলিথিন ছাড়া অন্য কোন মালামাল বহন করে না।
অভিযোগ বিষয়টি দুদুকের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি এবং অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।