
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় কেবল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে। কারণ, আমরা মানুষের জন্য কাজ করি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে নেমে আসে কালো মেঘ।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার নিয়ে ২০০৬ সালে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে গেল। তখন বাংলাদেশের মানুষ সেই ভোট মানেনি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ নির্বাচনে নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। জাতীয় আন্তর্জাতিক কোনো ভাবে কি, ওই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওঠেনি। সেই নির্বাচনের ফলাফল অনেকেই ভুলে গেছেন। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি তখন কয়টা সিট পেয়েছিল? বিএনপি নেতারাই হয়তো ভুলে গেছে। মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল বিএনপি। জাতীয় পার্টি পায় ২৭টি সিট। ৩টা সিট বেশি ছিল বলে খালেদা লিডার অব দ্যা অপজিশন হয়েছিল। জাতীয় পাটি যদি আর ৩-৪টা সিট পেত তাহলে খালেদা জিয়া লিডার অব অপজিশন হতে পারত না। এটা হলো বাস্তবতা। বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞেস করুন, এতো যে লাফালাফি কিসের জন্য? ২০০৮ নির্বাচনে তো এই রেজাল্ট।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি আমলের নির্যাতন আর ৭১ এর ঘটনার মধ্যে তফাত দেখি না। যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাই তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ওই সময় একদিকে পুলিশ আরেকদিকে ছাত্রদলের গুন্ডাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। রাস্তায় ফেলে কাপড় ছিঁড়ে, চুল ছিঁড়ে যে অত্যাচার করেছে, আমরা এসে কিন্তু সেটা করিনি। আমরা দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি।
পায়রা উড়িয়ে যুব মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে যুব মহিলা লীগ।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সেসময় নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক ও অপু উকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের কমিটি করা হয়। সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে। এতে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৩ বছর পর হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে ফের নাজমা আক্তার ও অপু উকিল নেতৃত্বে আসেন। এবার নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।










