প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছি। বিএনপিকেও একাধিকবার পত্র দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসতে পারছে না। কারণ, তারা আগাম স্পষ্টভাবেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন বর্জন করে এবং সরকারকে তারা বর্জন করেন। তারা চাচ্ছেন নির্বাচনের আগে একটি নির্বাচনকালীন সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে সরতে হবে।
তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনগুলো অনেক দামি। তবে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের আগেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। অনেক মেশিন অকেজো হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু সার্ভিসিং করা সম্ভব। তবে নতুন প্রকল্পে ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ চাওয়া হয়েছে। তবে সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিষয়টিও নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করছে বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তি ও প্রার্থীদের সঙ্গে কমিশন মতবিনিময় করবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনেক গুরুত্ব বহন করে, যা অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেবে কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবলায় এর সচিব জাহাংগীর আলম, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি হাবিবুল আউয়াল গত তিন দিনের সফরে পটুয়াখালীতে অবস্থান করছেন। বিকেলে তিনি কুয়াকাটা আঞ্চলিক নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন শেষে স্বস্ত্রীক কুয়াকাটা রাত্রীযাপন শেষে শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করবেন।