বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা নিশ্চিত করতে চাই : ছাত্রলীগ সভাপতি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগের কবর রচনা করেছিল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে অশুভ ও অন্ধকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক মৃত্যুঘণ্টা আমরা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ নিশ্চিত করতে চাই।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাধ্যমে আমরা শপথ গ্রহণ করতে চাই যে, আমরা একটা লড়াই করতে চাই এবং এই লড়াইয়ের শেষ আমরা দেখতে চাই। যারা জাতির পিতার হত্যাকারী, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করেছে, যারা রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, বাংলাদেশে দুর্নীতিকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়েছে এবং দুর্নীতিবাজদের যারা পুনর্বাসন করতে চায়। আজ স্পষ্ট করে বলতে চাই এই অপশক্তির বিনাশ আমরা বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিত করেই ছাড়ব।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই খুনিদের গ্যাং ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি জামায়াতকে পলিটিক্যাল ডেথ সার্টিফিকেট নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিশ্চিত নয়, আমাদের সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিরাপদ নিশ্চিত নয়।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, সময়ের প্রয়োজনে আজ থেকে ৭৫ বছর পূর্বে বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও মুক্তির মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বর্তমানেও সেই ছাত্রলীগ সময়ের প্রতিটি প্রয়োজনে নিজের সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দেওয়ার ব্রতকে ধারণ করে পথ চলছে। এদেশের প্রতিটি প্রজন্মে, প্রতিটি তারুণ্যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠতম স্থানে অবস্থান করেছে, করছে এবং আগামীতেও অবধারিতভাবে করবে। তাই, ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর নেতৃত্ব দেবে ছাত্রলীগ। দলের ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এটিই আমাদের সংকল্প।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।