বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, সরকার আদালতের কোনো মামলার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে যে কথা শুনেছি, হাইকোর্ট থেকে যে জামিন দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আইনের ব্যত্যয় হয়েছে। যে কারণে তিনি আপিল বিভাগে গেছেন।
শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী কসবায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকালে ট্রেনে আখাউড়ায় আসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের খারাপ আচরণের কথা শুনেছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি জানি। এখন কথা হচ্ছে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। প্রধান বিচারপতির কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের বিচারক এবং অন্যান্য বিচারক অভিযোগ করেছেন, ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, একজন বিচারকের প্রতি তাদের আচরণ খুব খারাপ ছিল, সেটা আমি শুনেছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কনডেমট রুল জারি করেছেন। এটা এখন বিচারকদের ব্যাপার। আদালত বিচার করবেন।
অশোভন আচরণের ঘটনা তুলে ধরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নিতে গত ২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তরে চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। পরে এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তিনি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে আগামী ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। এ ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ওই তিন আইনজীবী হলেন- সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও জুবায়ের ইসলাম।