এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সস্য এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এ কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রশ্নে আব্দুল লতিফ বলেন, বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ রফতানি হচ্ছে। সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের একটি ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করবে?
প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উৎপাদিত ওষুধ পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য ঢাকায় ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি ও চট্টগ্রামে কন্ট্রোল টেস্টিং ল্যাবরেটরি নামে দুইটি পরীক্ষাগার কার্যকর রয়েছে।
তিনি বলেন, ট্র্যাডিশনাল ঔষধের মান নিশ্চিতের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে ট্র্যাডিশনাল ল্যাবের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপনের কার্যক্রম চলমান। রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে আরও দুটির স্থাপন প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, এনসিএলে কেমিক্যাল ল্যাবটি আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত। ভ্যাকসিন ল্যাব ডব্লিউএইচও, এমএম-৩ অর্জনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যক্রম চলমান।
মন্ত্রী বলেন, আশা করা যায়, এ বছরের মধ্যে এমএল-৩ অর্জন করা সম্ভব হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো ওষুধ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪৮৪টি। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত পরিদর্শক টিমের মাধ্যমে নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, পরিদর্শনের সময় কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে নিবন্ধন বাতিল করা হয়।