জনগণ সতর্ক থাকায় স্বাধীনতা বিরোধীদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করলেও স্বাধীনতার বিজয়ের আনন্দ আমাদের বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ৭১-এর পরাজিত শক্তি এবং তাদের দোসররা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।

পরবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে, কিন্তু এদেশের জনগণের সর্তকতার জন্য তাদের সেই উদ্দেশ্যে সফল হয়নি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাত্র এক বছরের কম সময়ে সংবিধান তৈরিসহ আন্তর্জাতিক শতাধিক দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধু এমন নেতা, যিনি দেশের জনগণের স্বার্থে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। এই স্বাধীন দেশে ১০ জানুয়ারি তিনি ঢাকায় বিমান থেকে নেমে নিজের পরিবারের কাছে না যেয়ে সরাসরি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে যান। তিনি সেদিন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রূপরেখা ঘোষণা করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে গত ৪১ বছরের সংগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং চাঁদপুর পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, জেলা মহিলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান।