প্রতিকূল বিশ্বেও দেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস ও এক্সেসরিজ শিল্পের ভূমিকা বিশাল: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বমন্দার ভেতরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে গার্মেন্টস ও এক্সেসরিজ শিল্প বিশাল ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশ। সেটি এখন প্রায় ৩৫ শতাংশ। এখানেও তৈরি পোষাক ও সহযোগী শিল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে বিজিএপিএমইএ এক্সপোর্ট ট্রফি ২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, করোনার সময় সমগ্র পৃথিবী যখন থমকে ছিল, তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির পরিকল্পনা ও কার্যকর প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। সে সময়ে আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০তম জিডিপির দেশ, আজ আমরা ৩৫তম বৃহৎ জিডিপি। আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ।

এ সময় অত্যাধুনিক এই যুগে জাতির আত্মিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার ওপরও গুরুত্ব দেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত মানবিক রাষ্ট্র গঠন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) আয়োজিত ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি চারদিনের আন্তর্জাতিক মেলা ‘গ্যাপেক্সপো’র সমাপনী দিনে এ ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মতি সভাপতিত্ব করেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান এবং বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম মান্নান কচি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

সরাসরি রপ্তানিতে এপিলিওন লিমিটেডের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আল মামুন প্রথম, মনট্রিমস লিমিটেডের পরিচালক আসাদুর রহমান শিকদার দ্বিতীয়, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহমান শাকিব তৃতীয় এবং গ্রীন হাউস সত্ত্বাধিকারী নূর ই নাজনীন খানের হাতে নারী উদ্যোক্তা ট্রফি তুলে দেন মন্ত্রী।

এছাড়া এসোসিয়েশনের ১ হাজার ৯ শ’ সদস্যের মধ্যে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ ক্যাটাগরিতে মোট নয়জন ‘অনুমিত রপ্তানি (Deemed Export) ট্রফি’ লাভ করে।