ভোট চুরির রাজনীতি করে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

ভোট চুরির রাজনীতি করে বিএনপি অসুস্থ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপপ্রচার ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সমাবেশটির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারা অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাবেন। এতে কটাক্ষ করার কিছু নেই। তবে নেতিবাচক রাজনীতি করে অসুস্থ হলে বিএনপিকেও হাসপাতালে যেতে হবে। ধ্বংসের রাজনীতি করে, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, মানুষ হত্যার রাজনীতি করে, ভোট চুরির রাজনীতি করে দলটি অসুস্থ হয়ে গেছে। হাসপাতালে তাদের যাওয়ার দরকার। এজন্য বিএনপিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব উল্লেখ ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ আগুন দিয়ে সন্ত্রাস করবে। কেউ লাঠি নিয়ে খেলতে চাইবে। কেউ অশান্তি সৃষ্টি করবে। রাস্তা অবরোধ করে জনগণকে দুর্ভোগের ফেলবে সে অবস্থায় জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় আমরা পাশে আছি। এজন্যই আজকের এই শান্তির সমাবেশ। আর বিএনপির আয়োজন হচ্ছে অশান্তির এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন তারা।

২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মেট্রোরেলের আওতায় চলে আসবে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এমআরটি লাইন-১ পূর্বাচল থেকে কমলাপুর হয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার মেট্রোরেল হচ্ছে। এ মেট্রোরেলের ২১ কিলোমিটার পাতালরেল। আগামী ২৬ তারিখ পূর্বাচলে এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার আশপাশে ছয়টা মেট্রোলাইনের মাধ্যমে ঢাকা পুরোপুরি মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে আওতায় চলে আসবে।

নির্বাচন বিষয়ে ওই নেতা বলেন, আমেরিকান সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে। আমাদের দেশে আইন দিয়ে নির্বাচন কমিশন হয়েছে। আমরা ত্রুটিমুক্ত অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে করবে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সিটিং গর্ভমেন্টের মতো রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন-শৃঙ্খলা সবই থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নয়। এতে ভয় পাচ্ছেন কেন ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। জানি শেখ হাসিনার উন্নয়নে দেশের মানুষ খুশি আর আপনাদের (বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর) মন খারাপ। নির্বাচনে হেরে যাবেন দেখে এই ভয়ে ফকরুল সাহেব মাঝেমাঝে রেগে যান। হেরে গেলেও রেগে যান। আগেভাগে হারার আগে হারছেন কেন? নির্বাচনে আসেন আপনাদের সক্ষমতার একটা পরীক্ষা হয়ে যাক। আমরা রেডি আছি।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।