রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) যাচাই বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কমিশন সভা শেষে ইসি ভবনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৪৩ জন।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান তিনি। সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে ফিরে ওইদিন বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি।

জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা’। নির্বাচনী কর্তার কার্যালয়ে (প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিসে নির্ধারিত দিনে অফিস চলাকালে) মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে যিনি মনোয়নয়নপত্র জমা দেবেন তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে।

২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। স্বাধীনতার পর থেকে ২০ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশের আইনে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দুই মেয়াদে রয়েছেন। সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একবার সংসদের কক্ষে ভোট করতে হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন।