৬ আসনে ভোট: মনিটরিং সেল গঠন ইসির

আসন্ন ছয় আসনের উপ-নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, সেল গঠন সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দফতরে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ওই সেল আইডিয়া প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।

এতে অন্যদের মধ্যে থাকবেন জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা, বিজিবি/র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আনসার ও ভিডিপির উপ-পরিচালক পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার/সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নয় এমন একজন কর্মকর্তা।

মনিটরিং সেলের কার্যপরিধি

(ক) নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগতকরণ।

(খ) সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থান ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ।

(গ) ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন।

(ঘ) ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা দেওয়া।

(ঙ) সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতকরণ।

ছয় আসনে ২৭ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বর্তমানে চলছে প্রচার কাজ। আগামী ৩০ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টায় যা শেষ হবে।

গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত এমপি পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। এরপর প্রথমে ছয়জন ও পরে একজন স্পিকারের কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। স্পিকার তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। তার ভিত্তিতে ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি। একটি সংরক্ষিত আসন বিধায় সেটির নির্বাচন নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেবে সংস্থাটি।