স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের সিটিগুলোকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন হবে স্মার্ট নাগরিক৷
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিটিআরসি কর্তৃক আয়োজিত আজকের স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে প্রযুক্তির মহাসড়কে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন৷
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশে সকল নাগরিক সুবিধা থাকবে৷ পানি সরবারাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, গৃ্হস্থ বর্জ্য- শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে ও নগরে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে৷
মন্ত্রী বলেন, সুস্থ্য স্বাভাবিক নতুন প্রজন্মের গড়ে তুলতে হলে তাদের জন্য যথাযথ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে৷ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে তাদেরকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে৷ নাগরিক কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য অর্থনৈতিসহ সকল খাতকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে৷
মন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার শুধু স্বপ্ন দেখায় না, স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দান করে৷ ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন না বাস্তব৷ এমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বা স্মার্ট সিটিও বাস্তবে রূপ নিবে৷ এজন্য আমাদের সমন্বিতভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে৷
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেওয়া হলেও আমাদের দেশের বাস্তবতায় স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে হবে৷ বাংলাদেশের শহরগুলোর প্রেক্ষিতে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার নাগরিক যেন ঘরে বসে সব সুবিধা পাবে সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউট-এর অধ্যাপক ড. বি এম মইনূল হোসেন৷ তিনি উল্লেখ করেন, স্মার্ট সিটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক নাগরিকসেবাসহ সকল সেবা সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলসহ নাগরিকদেরও স্মার্ট সিটি গড়তে একসাথে অংশগ্রহণ করতে হবে৷
সেমিনারটিতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার৷ এছাড়াও অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি ইমদাদুল হক।