সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলে দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সিপিডি রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে এ ধরনের অনেক স্টাডি করে।
একটা রাজনৈতিক শক্তিকে তারা ক্ষমতায় আনতে চাচ্ছে। সিপিডির সঙ্গে যারা কাজ করে তারা অনেকটাই তাদের অংশীদার। এর মূল্য এদেশে সিপিডিকে দিতে হবে। জনগণ কাউকে ক্ষমা করে না।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে কৃষিপণ্য ও আলু রপ্তানির অগ্রগতির বিষয়ক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
প্রসঙ্গত, রোববার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) এক যৌথ জরিপে উঠে এসেছে, ২০২১-২২ অর্থ-বছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অগ্রগতি হয়নি। এটি হয়তো স্থবির ছিল, অথবা আগের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে দুর্নীতিকে। গত বছর এই দুর্নীতিই ছিল ব্যবসায় উন্নতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। শুধু তাই নয়, ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চ্যালেঞ্জ, দুর্বল আমলাতন্ত্র ও মূল্যস্ফীতিও ছিল ব্যবসার জন্য বাধা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি উধাও হয়ে গেছে, একবারে দুধের মতো স্বচ্ছ- এটা আমরা কোনো দিনই দাবি করি না। উন্নয়নশীল দেশে কম-বেশি দুর্নীতি হবেই। বেকারত্ব, দারিদ্র অনেক বেশি। দুর্নীতি পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমেরিকার মতো দেশে দুর্নীতি আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কমবেশি দুর্নীতি আছে। কিন্তু আমরা যে প্রবৃদ্ধিটা ধরে রেখেছি, এটিকে আপনারা কীভাবে দেখবেন! এটা কী করে হলো, এটা কী কোনো জাদু বলে! এটা কি আমরা বানিয়ে দিয়েছি? এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মাল্টিল্যাটারাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার, ডোনাররা- তারাই তো এটি বলছে। তারাই তো মূল্যায়ন করেছে।
ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, কাজেই সিপিডি যে গবেষণা কার্যক্রমটি চালিয়েছে, এটা কী ম্যাথোলজি ছিল, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেটি আমাদের জানতে হবে। আমাদের সামনে সেটি দেখাতে হবে। সিপিডি অবশ্যই রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
তিনি জানান, সিপিডি খুবই আন্তরিকভাবে প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। দুর্ভাগ্য এদেশের মানুষ এত সচেতন, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী লীগ তাদের সরায়নি। আওয়ামী লীগের আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ সবাই আমরা জেলে ছিলাম। কিন্তু জনগণ তাদের একেবারে পত্রপাঠে বিদায় করেছে।
সিপিডির জরিপে বলা হয়, গত বছর (২০২২ সাল) ব্যবসায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল দুর্নীতি। ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যবসায়ী মোটা দাগে দুর্নীতিকে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন।