আওয়ামী লীগ দেশের শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বিএনপি মহাসচিবের এমন কথার জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দেশের শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ নয় বিএনপি ধ্বংস করেছিল। বিএনপি কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এরা সব সময় চায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। এরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করত তাহলে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাদের এমপিদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করত না। এরা কখনোই দেশের মঙ্গল চায়না।
শুক্রবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,বিএনপি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর শেষ প্রান্তে দাঁড় করিয়েছিল। এরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। এরা গণতন্ত্রকে হত্যাকরে আবার গণতন্ত্রের গল্প শোনায়। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে সত্যি খুবই আশ্চর্য লাগে। তারা এ দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দল করে ক্ষমতায় এসে শাসনের নামে দুঃশাসন করেছে। তাই এখন এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন,কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম থামানো যাবেনা। বিএনপি প্রথমে বিক্ষোভ দিয়ে তাদের আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এখন করছে নীরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন নীরবে পদযাত্রা করছে। তাদের আন্দোলন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত, তারেক রহমানের ফিরে আসা, খালেদা জিয়ার সিংহাসনে বসা, তাদের ৫৪ দল, ২৭ দফা, ১৪ দফা সবকিছু ভুয়া।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে দেশকে বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।কিন্তু ঘাতকের দল আমাদের মহান নেতাকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার আগেই নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা করে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন। ঘাতকদের বিচার কার্যকর করার মধ্য দিয়ে তিনি দেশকে এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
ভাষা আন্দোলনের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, আমরাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যারা নিজের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছি। সারা বিশ্বের সকল ভাষাকে আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ। যার যার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখাই আমাদের একুশের চেতনা। এই একুশের চেতনাকে আন্তর্জাতিক দুনিয়া স্বীকার করেছে এটাই আমাদের বড় গৌরবের পরিচয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি আবদুল মতিন, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনেট সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।