১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব ইউনিয়নে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।

তিনি বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ সমাবেশ সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৪০টি জেলার কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে হওয়া সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে’আগামী ১১ ফেব্রয়ারি সারাদেশের প্রতিটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সমাবেশে অংশ নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ শান্তি সমাবেশ সফলে ৪০টি জেলার কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। এছাড়া যে সকল জেলার নাম উল্লেখ নেই সে সকল জেলায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহনে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ আয়োজন করতে হবে বলে বৈঠকের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের যেসব জেলায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে—

লালমনিরহাটে অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, রংপুরে এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, সুজিত রায় নন্দী ও অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জয়পুরহাটে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়ায় ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁয় সাখাওয়াত হোসেন শফিক, রাজশাহী জেলায় এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বেগম আখতার জাহান। সিরাজগঞ্জে প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি, পাবনায় নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঝিনাইদহে পারভীন জামান কল্পনা, যশোরে বি এম মোজাম্মেল হক, মাগুরায় শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, নড়াইল মাশরাফী বিন মোর্তুজা এমপি, বাগেরহাট অ্যাড. মোঃ আমিরুল ইসলাম মিলন এমপি, খুলনা জেলায় এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, বরগুনায় সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালীতে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বরিশাল জেলায় আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও আনিসুর রহমান, পিরোজপুরে মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, টাঙ্গাইলে ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও বেগম শামসুন নাহার, মানিকগঞ্জে অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, মুন্সিগঞ্জে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, গাজীপুরে সিমিন হোসেন রিমি এমপি, নরসিংদীতে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, রাজবাড়ীতে দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুরে আব্দুর রহমান, গোপালগঞ্জে লে. কর্ণেল (অব) মোহাম্মদ ফারুক খান ও সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, মাদারীপুরে শাহজাহান খান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আনোয়ার হোসেন ও সাহাবুদ্দিন ফরাজী, শরীয়তপুরে ইকবাল হোসেন অপু, জামালপুরে মির্জা আজম, শেরপুরে মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনোয় অসীম কুমার উকিল ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কুমিল্লা উত্তরে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুম সবুর, চাঁদপুরে ডা. দীপু মনি ও ড. সেলিম মাহমুদ, লক্ষীপুরে ফরিদুন্নাহার লাইলী, চট্টগ্রাম উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজারে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রাঙ্গামাটিতে দীপঙ্কর তালুকদার ও বান্দরবানে ওয়াসিকা আয়শা খান প্রমুখ।