জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মীয় বৈষম্য থাকার সুযোগ নেই মন্তব্য করে স্থানীয় সরকার (এলজিআরডি), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ‘অতীশ দীপঙ্কর’, ‘বিশুদ্ধানন্দ’ ও ‘শুদ্ধানন্দ’ শান্তি স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ।
অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, নিজ ধর্মকে ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হবে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের পারস্পরিক সম্মানবোধই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নিশ্চিত করবে।
ধর্মীয় সুযোগ সন্ধানীরা যাতে ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্মীয় বিভাজন মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সব বৈষম্য দূর করার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যও দূর করতে কাজ করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দর্শন বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী চট্টগ্রামের কাতালগঞ্জে অবস্থিত নব পণ্ডিত বিহার উন্নয়নের জন্য ২ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বৌদ্ধ ধর্মের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।