হৃদরোগের সকল চিকিৎসা বাংলাদেশেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন হৃদরোগের চিকিৎসায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই রোগের চিকিৎসায় এখন আর দেশের বাইরে যেতে হয় না। শতকরা ৯৫ ভাগ চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কার্ডিওভাস্কুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং ইন্টারভেনশনাল অ্যাকাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ৩য় আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু হৃদরোগে ভুগছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশে মোট মৃত্যুর ২৭ ভাগ হৃদরোগে হয়ে থাকে। এর জন্য দায়ী হলো আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ঠিক না থাকা, ধূমপান করা ও কায়িক শ্রম না করা। আমাদেরকে শুধু হৃদরোগ চিকিৎসা নয়, আমাদেরকে প্রতিরোধেও নজর দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেসব রোগের চিকিৎসা দেশের বাইরে করতো হতো, সেগুলো এখন দেশেই হচ্ছে। কিডনি, লিভার, বনম্যারোসহ জটিল সব চিকিৎসা দেশেই হচ্ছে। আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সারাদেশে ৬০০টি হাসপাতাল, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল হয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবায় আমরা ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, সেগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বর্তমানে সারাদেশে ১১৫টি মেডিকেল কলেজ আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করবো। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে, ইতোমধ্যে ৪টি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিশু কার্ডিয়াক সেবা বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কার্ডিয়াক বিভাগ স্থাপন হয়েছে।
বাংলাদেশ কার্ডিওভাস্কুলার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।