ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে ভোট চুরি সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই মেশিনের মাধ্যমে ভোটদান নিরাপদ বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘আইনস্টাইনও ইভিএম মেশিনে ফল পাল্টাতে পারবে না’ বলে নিশ্চয়তা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প আয়োজিত ‘নির্বাচনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমের ভালো দিক হলো নিরাপত্তা। ভোটের নিরাপত্তা, যেমন আমার ভোট আমি দেব অন্য কেউ যাতে কেড়ে নিয়ে সিল মেরে দিতে না পারে। কারণ ভোটাররা না গেলে, ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না। কিন্তু আমাদের বড় একটা অংশ দাঁড়িয়ে গেল ইভিএমের বিপক্ষে। তারা বলতে লাগলেন, এটা ভোট চুরির মেশিন। আমি নির্বাচন কমিশনে প্রথম যখন আসি তখন আমিও মনে করতাম হয়তো এই মেশিনে ভোট চুরি করা যায়। কিন্তু এরপর পরীক্ষা করতে থাকি। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা করেছি। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে তাদের মেশিন দিয়ে বললাম আমাদের দেখিয়ে দেন কারচুপি কীভাবে করা সম্ভব। কিন্তু তারা দেখাতে পারেননি। গত ৯-১০ মাসে নির্বাচনেগুলাতে কােনো বস্তুনিষ্ঠ অভিযোগ পাইনি। আবার বলা হলো, শেষের ১০ মিনিটে ফলাফল পাল্টিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ১০ মিনিটে যদি একজন আইনস্টাইনকেও বসিয়ে দেওয়া হয় তিনিও ফল পাল্টাতে পারবে না। এটা সম্ভব না।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে বোঝাপড়ায় ফাঁক থাকলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে, নির্বাচন প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না। সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হতে পারে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা স্বস্তিদায়ক ও সহজভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাদের মধ্যে মোটাদাগে বোঝাপড়া থাকে তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারব। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে যদি কোনও বোঝাপড়ার ফাঁক থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন। সবার সহযোগিতায় সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে জনগণের কাছে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চেষ্টা করব।’