স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পুলিশ তার নির্ধারিত কাজ করছে বলেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, চোরাচালান, সুন্দরবনের জলদস্যু, চরমপন্থী সবাই একে একে আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে কিংবা তাদের অপরাধের জীবন ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপরাধের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন কোথাও যেন কাউকে ছাড় না দেওয়া হয়। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরাও কাউকে ছাড় দিই না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ ভূমিকা রেখে চলেছে। আজ জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯ জনগনের সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। যে কেউ বিপদে পড়ে ৯৯৯-এ কল করলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ পৌঁছে যাচ্ছে এবং সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। একসময় আমরা বাংলাদেশে স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল এগুলো চিন্তাও করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী একের পর এক তা বাস্তবায়ন করছেন। দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ডা. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়, যশোর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, ঢাকা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নুরুল আনোয়ার, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মইনুল হক, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অনান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।