মিরপুরে রেস্টুরেন্ট থেকে জামায়াত সন্দেহে আটক অর্ধশতাধিক

রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন মিরপুর-১ ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি রেস্টুরেন্টে ‘যাকাত ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় মার্কেটটির ‘ফোর সি’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ঘিরে রাখে দারুস সালাম থানা পুলিশ।

পুলিশের দাবি, সেখানে দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রমের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জামিনুর রহমান খান বলেন, মিরপুর-১ এর ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি রেস্টুরেন্টে রাষ্ট্রবিরোধী দুরভিসন্ধিমূলক কার্যক্রম চলছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

দারুস সালাম থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ওই রেস্টুরেন্টে জামায়াতের ব্যানারে কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। কিন্তু আলোচনা সভাটির আয়োজনে জামায়াতের নেতা-কর্মীরাই যুক্ত ছিলেন। এমন খবরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখান থেকে ৬০ থেকে ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন মামলার আসামি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তবে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার বিভাগের পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, যাকাত ইসলামের একটি মৌলিক বিধান। ওই রেস্টুরেন্টে যাকাত শীর্ষক সেমিনার চলছিল। সেখানে আগত এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এবং মার্কেটে আগত অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে বিনা অপরাধে আটক করে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, এতে সরকারের লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। সভা-সমাবেশ করা মৌলিক অধিকার। বিনা অপরাধে এভাবে আটকের ঘটনায় দেশে অস্থিরতা বাড়বে। আমরা আশা করব, নিরপরাধ মানুষকে কষ্ট না দিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে ছেড়ে দেবে।