স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার পর মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে গত দুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
তবে ক্লাস শুরুর প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ্য করে গেছে। আর ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা ব্যবসায়িক দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানও খুলতে শুরু করেছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাবি ও এর আশপাশের এলাকায় মঙ্গলবার সকালেও পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
মঙ্গলবার থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অকারণে প্রবেশ ও যত্রতত্র ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করেছে। তবে সঙ্গতকারণে কারো ক্যাম্পাসে আসার প্রয়োজন হলে প্রবেশ গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যরা পরিচয় যাচাই ও ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণ নিশ্চিত হয়ে প্রবেশ করতে দেবেন। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে আগের মতো নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়েছে। এতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ আবারও স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত দুদিনের উদ্ভূত পরিস্থিতির পর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১২ ও ১৩ মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করে। এ দুদিন শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন করেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দেন।