আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে সৎ মানুষের প্রয়োজন। এখনো সৎ মানুষ আছে, সৎ রাজনীতিবিদও আছে। এই সৎ মানুষ ও ভালো মানুষ তৈরি করার জন্য আমাদের আরও উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে জাতীয় শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ আলী আহমেদ খানের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.আলী আহমদে খান বঙ্গবন্ধুর আর্দেশের মানুষ ছিলেন। তিনি জাতির পিতার আর্দেশের সন্তান। বিভিন্ন সময় অনেকেই আর্দশের থেকে বিচ্যুত হলেও তিনি কখনো সৎপথ ও আর্দশের পথ থেকে সরে যাননি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। স্বাধীনতার আগেই তিনি পড়াশোনা করে জাতি গঠনে কাজ করেছেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করছেন। মো. আলী আহমেদ খান ছিলেন খুব বিনয়ী মানুষ। মাদারীপুরে তার মত মানুষ আর হবে না। তার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা টাকার লোভ ছিল না।তিনি মানুষকে প্রকৃত মানুষ বানানোর চেষ্টা করে গেছেন। তার সততা ও আর্দশকে আমাদের অনুকরণ করতে হবে, তাহলে আলী আহমেদ খানের আত্না শান্তি পাবে এবং তারপ্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে সৎ মানুষের প্রয়োজন। এখনো সৎ মানুষ আছে, সৎ রাজনীতিবিদ আছে। এই সৎ মানুষ ও ভালো মানুষ তৈরি করার জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। এই আলী আহমেদ খান জাতির পিতার আর্দেশর সন্তান। তাকে ষড়যন্ত্রকারীরা বহুবার হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি সকল বাঁধা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু আর্দশ ধারন করে মাদারীপুরে আওয়ামী লীগ করে গেছেন। তিনি শুধু একজন ভালো মানুষ ছিলেন না তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মো.আলী আহমেদ খান বলেছিলেন আমি আর দল চালাতে পারবো না আমার বসয় হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা (নাছিম) বলেছিলাম আপনার মত ভালো মানুষকে যদি আমরা সন্মান করতে না পারি তাহলে কখনো মানুষ আওয়ামী লীগ করতে আসবে না। তারপর তিনি আবার জেলার আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আলীর আহমেদের স্মৃতি চারণ করে মাদারীপুরের কৃতি সন্তান বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, আমরা একজন গুণী মানুষ হারালাম। এমন মানুষ আর পাবো না। তার নামে যে একটি স্কুল করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে একটি স্কুলের নাম করণ করা হতেই পারে। এটা নিয়ে কারও ভিন্নমত থাকাটা স্বাভাবিক। তবে তার মৃত্যুর পরে এটা নিয়ে কোনো ভিন্নমত না করার আহবান জানাবো। একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, একজন আর্দশের মানুষ, একজন সৎ মানুষ, একজন শিক্ষকের নামে যেন স্কুলের নামকরণ করা হয় এটা নিয়ে আমরা কাজ করব। কিন্তু এ নিয়ে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে মাদারীপুরের মানুষ তা ভালোভাবে নেবে না। এখন এমন একটা সময় চলে আসছে আগামী পাঁচ বছর পরে চাইলেও আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পারব না। কারণ তাদের বয়স হওয়া তারা মারা যাচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চরমুগরিয়া মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ আলী আহমেদ খান এর স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে মাদারীপুরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।