বিএনপি-জামায়াতকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, আজকের নতুন প্রজন্ম যখন ইতিহাস জানবে তাদের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ মুখরিত হবে।
সারাদেশের মানুষ জেগে উঠবে, তাদের ঘৃণা করবে, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) রাজনীতির কবর হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন সাড়ে সাতকোটি লোক ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনি আবারও ১৮ কোটি লোক ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ যুবলীগের ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমু বলেন, গণহত্যা দিবস সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে, সংসদে পাশ করতে হবে। বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সরকার সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কেউ কোনোদিন ভাবেনি, কেউ কোনোদিন চিন্তা করেনি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, কিন্তু শেখ হাসিনা আজকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন। এরমধ্যে দিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। সঠিকভাবে বিচার করার মধ্যে দিয়ে রাজাকারেরা চিহ্নি হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে বারবার প্রাণনাশের চেষ্টার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তো কারো পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে টান দেননি। রাজনৈতিক কারণেই তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা শেখ হাসিনা বিদেশে থাকার কারণে পঁচাত্তরে হত্যা করতে পারেনি তারা, আজকে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তার প্রতি আক্রমণ।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, দলের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র। এ যড়যন্ত্র বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র।
মুক্তিযুদ্ধের কথা যদি এ প্রজন্ম জানতে পারতো, এ দেশের মাটিতে ওরা সরকার গঠন করতে পারতো না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এ নেতা।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।