
রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ক্রিসেট রোড এলাকা হতে নিখোঁজের পর স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।অপহরণের পর টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
রোববার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানা এলাকা হতে এ হত্যা কান্ডের অন্যতম আসামী মোঃ মিল্লাত হোসেন মুন্না (১৯) কে গ্রেফতার করে ডিবি।পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলাবাগান থানা এলাকা হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।তারপর দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি তেজগাঁও জোনাল টিমের সাথে মুন্সীগঞ্জ জেলা ডিবির একটি টিম যৌথভাবে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানা এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামী এহসান ওরফে মেঘ (২৩) কে গ্রেফতার করে এবং হত্যার পর লাশ বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ঢাকা মেট্রো-গ-১১-১৯৪৪ উদ্ধার করে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) গোলাম সবুর।
তিনি বলেন, স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যার ঘটনায় জড়িত আরো কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ডিবি বলছে, একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র টাকা হাতিয়ে নিতে ইমতিয়াজকে অপহরণ করে। পরে টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে।
ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানা এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির নকশার কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এ নিয়ে ৮ মার্চ তাঁর স্ত্রী ফাহামিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি ঝোপের ভেতর থেকে ইমতিয়াজের লাশ উদ্ধার হয়। তবে পরিবার তা জানতে পারেনি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ইমতিয়াজ নিখোঁজের বিষয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হলে ১০ দিন পর পরিবার জানতে পারে, ইমতিয়াজ মোহাম্মদ খুন হয়েছেন। সিরাজদিখানে যে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়েছে, তা ইমতিয়াজের। পরে আদালতের অনুমতিতে ওই লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করেছেন ইমতিয়াজের স্বজনেরা।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূইয়া নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ৮ মার্চ কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।পরে
গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ গোলাম সবুরের নির্দেশে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে তেজগাঁও জোনাল টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এনামুল হক মিঠু পিপিএম এবং পুলিশ পরিদর্শক কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।