জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জনগণ যেভাবে জেগে উঠছে আমরা বিশ্বাস করি এ সরকারের পতন অবশ্যই হবে। আর এ পতন জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই হবে। এরপরেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ আর আওয়ামী লীগের কোনো চক্রান্তে পা দেবে না। এবার জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) সব চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দেবে।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে ‘বিদ্যুৎ গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে’ আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে; তাকে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অন্যায় ভাবে সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যেসব মামলা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।
সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সব ভিন্নমতের কন্ঠরোধ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলোর মতো এত জনপ্রিয় একটি পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের এক সংবাদকর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। সরকার সব ভিন্নমত ধারণকারীদের গুম করছে, হত্যা করছে। তাদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পাবে না। তাই আজকে সবার দায়িত্ব হবে সবাই মিলে এদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকার সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে উল্লেখ করে মীর্জা ফখরুল বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটাকে সরকার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে। সরকার বলছে গত তিন বছরে বেকারত্বের সংখ্যা ২৬ শতাংশ কমে গেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে এসবই মিথ্যা কথা। এভাবে সরকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে, তাদের বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। সঞ্চালনা করেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান প্রমুখ।