যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এখন বেশ জোরেশোরে চলছে। দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ এখন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছেন। ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবদের মাঠে নামানোর এক পরিকল্পিত প্রয়াস চলছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের ৩১ শয্যা হাসপাতাল মাঠে খাদ্যসামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম এখন নগ্নভাবে বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। যার ন্যক্কারজনক বহিঃপ্রকাশ সম্প্রতি জনগণের সম্মুখে এসেছে প্রথম আলোর হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটাকে শুধু হলুদ সাংবাদিকতা বলা যায় না। এ ধরনের সাংবাদিকতা সমগ্র সাংবাদিক পেশাজীবীদের কলঙ্কিত করেছে। এর মাধ্যমে শিশু সরলতাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতা করা হয়েছে। আমি নিজে একজন সাংবাদিকের সন্তান হিসেবে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
পরশ বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আজকে বিশ্ব মন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি হওয়াতে আপনাদের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করি। কিন্তু আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগ আপনাদের পাশে আছে এবং চিরদিন থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। দেশের জনগণকে আমরা সবসময় সাথে পেয়েছি। এদেশের জনগণ চরম বিপদের সময় আমাদের পাশে ছিল এবং সবসময় থাকে। জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, একটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের এক পরিকল্পিত নীলনকশার বাস্তবায়ন চলছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে, যে সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। আর এই নীলনকশার বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন এক-এগারোর কুশীলবরা।