আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে মাধ্যমিক পর্যায়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। বিশ্বের বহু উন্নত দেশে যেভাবে হয়, সেরকম পরীক্ষা। সেটি হয়তো বছরে একাধিক বার হবে। যেখানে সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সব ধরনের এবং সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই অংশ নিতে পারবেন। কাজেই এটি অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। সেই পরীক্ষার মাধ্যমে একটি জাতীয় মেধাক্রম তৈরি হবে। একটি তালিকা তৈরি হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করানো হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেলে একই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এটা এমন নয় যে একেবারে নতুন পদ্ধতি। ওই জায়গায় যেমন সকল মেডিকেল কলেজ, পাবলিক-প্রাইভেট সবাই আসে। এখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয় আসবে। এটির কি পদ্ধতি হবে না হবে, খুঁটিনাটি যা কিছু আছে সেই সমস্ত বিষয়গুলো ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরি কমিশন সহসাই একটি কমিটি করে দেবে। সেই কমিটি সব নির্ধারণ করলে তারপর সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তার যথাযথ তদন্ত হবে। তদন্তে এটি একটি দুর্ঘটনা নাকি অন্য কোনো কারণ তা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে। তবে কেউ কেউ আছেন সব সময় শুধু এসব বিষয়ে সরকারকে দোষারোপ করেন। এ ধরনের দুর্যোগ হলে ক্ষতি কার? এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকার। কারণ এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সামাল দেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হয়। কাজেই সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কিছু হওয়ার যারা চিন্তা করেন তারা কী ধরনের বিকৃত মানসিকতার মানুষ তা বোঝা মুশকিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের পাশে আছে, থাকবে। এদেশে ঋণ খেলাপীর জন্ম দিয়েছেন জিয়াউর রহমান এবং তার দল বিএনপি। এদেশে যত হাওয়া ভবন বানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ আগুন দেয় না বরং আগুন নিভিয়ে মানুষকে সুস্থতায় ফিরিয়ে আনে। বিএনপি-জামায়াত হলো আগুন সন্ত্রাসী।
এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আউয়ুব আলী বেপারীসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।