চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই ভাগে ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ৬ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৬ জন এবং ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আরও ছয়জন যুক্ত হয়ে মোট ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের ২৮৫ চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন ‘‘The Representation of the People Order’’, ১৯৭২ (পিও নং, ১৫৫ অফ ১৯৭২) এর রুল ১১ (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং প্রাসঙ্গিক আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ এবং নির্বাচনি অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নিমিত্তে নির্দেশনার আলোকে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া, নির্বাচনী এলাকায় নিয়োজিতব্য মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি মোবাইল টিম আকারে দায়িত্বপালন করে। প্রতিটি মোবাইল টিম একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ দায়িত্বপালন করবেন। এ লক্ষ্যে উল্লিখিত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে।
তবে স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হলে তদানুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।