বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলছেন, ডা. জাফরুল্লাহ এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি অসীম সাহসে সাদাকে সাদা বলতেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল ছিলেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত বীর। তার সারাটা জীবনই বীরত্বগাঁথা। দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসা ছিল তার। যৌবনে অসীম সাহসিকতায় গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যুদ্ধাহত অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে ছুটে বেড়িয়েছেন দলবল সহ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশ পরিচালনার সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর হাতেই ওষুধ নীতি প্রণয়ন করেন। সেই কারণেই এখন চাহিদার ৯৬ শতাংশ ওষুধ উৎপাদন করছে দেশ। আবার প্রায় ২০০ দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী অসীম সাহসে সাদাকে সাদা বলতেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি দেশ প্রেমিক এক অভিভাবক হারাল। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়া বলেন, আমাদের সময়ের নায়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। প্রায় ৭ ঘণ্টার সফল ডায়ালাইসিস শেষে খুশি মন নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। বাসায় পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যুর খবর পেলাম।
জাফরুল্লাহ ভাই এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের মাঝে বেঁচে থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবসময় যিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি মজলুমের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে হাজির হতেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।