আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ লন্ডনে বসে থাকা সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের মিথ্যা প্রচারণা ও গুজবে সাড়া দেবে না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান দুর্নীতি করে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গিয়ে লন্ডনে বসে আরামে জীবনযাপন করছে। সে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে লন্ডনে নিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান আর যাই হোক বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। সে কখনো দেশের মানুষের কল্যাণ চায়নি। এরা চায় জিয়া যেভাবে জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছে, একইভাবে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে অপরাজনীতি করে। তারা সবসময় অসত্য কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তারা সবসময় বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয় ও নালিশ করে। বিদেশিদের আহ্বান জানায় বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে, শান্তিতে আছে, এটি তারা মেনে নিতে পারে না। দেশের মানুষের সুখ দেখলে তাদের হিংসা হয়। বিএনপির শাসন আমলে দুঃশাসন, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, ধর্ষণ, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আন্দোলনের নামে তাদের মানুষ পুড়িয়ে মারার ইতিহাস দেশের জনগণ ভুলে যায়নি। বিএনপির রাজনীতি হলো বস্তাপচা রাজনীতি। আন্দোলনের নামে দেশের মানুষের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করাই হলো তাদের রাজনীতি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা হলেন দেশের মানুষের পরম বন্ধু। তিনি ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে আমাদের আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তান অথবা শ্রীলঙ্কার মত দেউলিয়া হয়নি। দেউলিয়া হওয়ার কোনো কারণও নেই। ইতোমধ্যে আমরা দেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। শেখ হাসিনা সবসময় আপনাদের পাশে আছেন। তিনি সবসময় দেশের মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য কাজ করেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সবসময় দেশের জনগণ থাকে। জনগণের পরম বন্ধু হলো জাতির পিতার সংগঠন আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, রাতের আঁধারে ক্যান্টনমেন্টে খুনি জিয়ার হাতে তৈরি হওয়া দল হলো বিএনপি। এরা এখনও ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষকে শোষণ করতে চায়। এরা অর্থনৈতিক সংকটকে গুজবের মাধ্যমে বৃদ্ধি করে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি করতে চেয়েছিল। এরাই হওয়া ভবনে বসে পরিকল্পনা করে সিরিজ বোমা হামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা লুণ্ঠনকারী, দুর্নীতিবাজ, যারা সন্ত্রাসী, যারা বোমা হামলাকারী তাদেরকে আমরা আর বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেবো না। এই খুনিদের আমরা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার আর কোনো সুযোগ আমরা দেবো না। এরা যেখানেই কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে সেখানেই তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।
ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান।