বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষককে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এই কৃষক লীগের যে কতটা গুরুত্ব, তা কৃষক ও সাধারণ মানুষদের অনুধাবন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে কৃষক লীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজকে আমার বারবার মনে হয় যে, একসময় জমি বেশি ছিল মানুষ কম ছিল। কিন্তু এদেশ খাদ্য ঘাটতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। শুধু তাই নয়. বারবার বন্যা, যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে বঙ্গবন্ধু সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা নিয়ে কৃষক সমাজকে সংঘটিত ও সংঘবদ্ধ করে আমাদের খাদ্য যে স্বয়ংসম্পূন্নতা অর্জন করেছি সেটাকে আরও বলিয়ান, আরও সমৃদ্ধশালী করাটাই হোক আজকে কৃষক লীগের শপথ। আমাদের দেশে কৃষকের যে শক্তি, যে উর্বর মাটি, আমাদের যে সহনশীল নেতৃত্ব, সেই নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, কৃষক ও কৃষিজীবীদের জন্য বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যের জন্য আমাদের বিশ্বের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় না। সার, বীজ, বিদ্যুতের জন্য বিএনপি-জামাত জোটের বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে নিয়ে কৃষক লীগের আন্দোলন লড়াই সংগ্রামে শহীদ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, বিদেশি পত্রিকায় কলাম লিখে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে, সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৃষক লীগ এদেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন। কৃষক লীগ মানুষের পাশে ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা প্রত্যাশা করি কৃষক লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উন্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অুনষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী,বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।