যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে মানুষকে বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হত। এভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে তারা আইন-শৃঙ্খলা এবং হত্যা-গুমের কথা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কালাচাঁদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে, পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিছুদিন আগেও শাহআলী এবং রূপনগর থানায় বিএনপির প্রোগ্রামে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের গায়ে হাত দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেই পুরানো চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই। ২০০১ সালে যেই বিএনপি আমাদের সাংবাদিক ভাইদের নির্যাতন করেছিল, এরা সেই বিএনপি ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুলে গেলে চলবে না, যে ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রথমে রাজনীতিবিদদের গালি দিয়ে মিলিটারি লেবাস পরে ক্ষমতা দখল এবং তার পর লেবাস খুলে নিজেই রাজনীতিতে নামা। রাজনৈতিক দলের কিছু উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল গঠন করা। এইতো বিএনপি আজকে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে বিএনপি। শেখ হাসিনাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, আজকে ওরা (বিএনপি) হত্যা, খুন-গুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছে, হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ানো হয়েছে। ২১ বছর পর, ১৯৯৬ তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করেনি যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেলাম? ওরা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ৩০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. আশিকুর রহমান শান্ত।