তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে তারা কি সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে বসে থাকা কারো লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে, না কি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, কোনো গণমানুষের সংগঠন যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বিমুখ থাকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেই সংগঠন আর গণমানুষের সংগঠন থাকে না, কর্মীনির্ভর স্বার্থরক্ষার সংগঠনে দাঁড়ায়। আসলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন চান তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য বিএনপি একটা লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে থাক। সে কারণেই তিনি বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চান না।’
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন। ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বিএনপির এ ধরণের বাগাড়ম্বর ১৪ বছর ধরে শুনে আসছি। মানুষের কাছেও এগুলো হাস্যকর কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির এ ধরণের হুমকি-ধমকি তাদের কর্মীরাও বিশ্বাস করে না, আস্থাও রাখে না। গত বছর ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপির ভেতরে আলোচনা হচ্ছে, আন্দোলন এভাবে মাঠে মারা গেলো কেন। মাঠে মারা যাওয়া আন্দোলনকে তারা আবার জীবিত করতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না’ এ বক্তব্য খন্ডন করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় গেছে। আমরা জনগণের শক্তিতে, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করি। বিএনপি বরং নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, সে জন্য তারা নির্বাচন বর্জন করছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত বর্জন করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছে, প্রতিহত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই অংশগ্রহণ করেছিলো। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটি তাদেরই সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাদের পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো। খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিছুদিন আগে বিএনপির নেতারা বলছিলো যে, খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ না নেওয়া হয় তাহলে তার জীবন শঙ্কা আছে। সেটি বলার মধ্যেই আমরা দেখতে পেলাম, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েই ভালো হয়ে চলে গেছেন এবং বলেছেন তিনি খুব ভালো আছেন। বিএনপিরই আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা, অসুস্থ দেখানো, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি সেটি করে আসছে।’